আমি সাথিয়া:: কেউ যদি ভালো কিছু করতে চায় অথবা আপনাকে দেখে ভালো কিছু করার উৎসাহ জাগে তাহলে তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা উচিত নয়।
শিখতে গিয়ে বা প্রথম অবস্থায় কিছু করতে গিয়ে অনেক ভুল হতে পারে তাই বলে এমন হিংসাত্মক প্রশ্নে মনে আনা ঠিক নয় যে সে তোমার দেখাদেখি করছে। এতে করে সে লোকটি তার কাজ করার উৎসাহটাই হারিয়ে ফেলতে পারে।
যে মানুষটা একটা সময় লজ্জায় গান করতো না হয়তো এমনও হতে পারে সে কারো সংস্পর্শ পেয়ে গান করার আগ্রহ পাচ্ছে। এতে কিছু লোকেরা নিম্ন রূচির প্রমাণ দেন তাদের আচরণে। তারা যখন বলেন এতোদিন গান করে নি এখন করতে এসেছে আমাদের মতো সেলিব্রেটি হতে এমন আচরণও তার হৃদয়কে চূর্ণ করে দিতে পারে।
সকল মানুষ সব দিক দিয়ে প্রতিভার অধিকারী হয় না। আবার কেউ নানান অসঙ্গতি ও নানান সমস্যার কারণে হয়তো তার প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম পায় না। অথবা আর্থিক সংকটে শেকড়েই ঝরে যায় তার হৃদয়ের বাসনা।
সবাই আবার টাকার পিছু ঘুরে না। এ জগতে এখনো অনেক আছে যারা দীনতার সাথে লড়াই করে তবুও কারো হাত পাততে চায় না। তারা সকল দীনতাকে দ্যর্থ করে আশায় বাঁচে। তারা নিজ যোগ্যতাকে কখনোই নিরাশ করে না।
আমরা মানুষ চিনতে ভুল করি। ভুল মানুষকে যতোই বানান করে করে ভালো জিনিস বুঝানো হোক না কেনো, সে ভালো জিনিস বুঝবে না। এজন্য আমরা একই মানুষের কাছে বারবার পরাজিত হই, বারবার ঠকি নানান প্রসঙ্গে।
কেউ টাকা পেলে খুশি, কেউ আবার টাকার চেয়ে অন্যের জ্ঞানগর্ভ উপদেশকে বেশি প্রাধান্য দেয়। টাকার মানুষ টাকা পেলে যেমন খুশি তেমনি যিনি জ্ঞানকে সঙ্গ করে আছেন তিনি জ্ঞানীর সংস্পর্শে নিজেকে রাখতে চায়।
আমরা মাছওয়ালা দুধ দিয়ে আর দুধওয়ালাকে মাছ দিতে রপ্ত রাখতে চাই। কিন্তু দুধওয়ালা কি কখনো মাছে সন্তুষ্টি পায়? এ জন্যই আমাদের মনের পরিধি এতো বিচলিত।
যে মানুষগুলো সমাজের, দেশের বড় বড় দুঃখগুলো নিয়ে ভেবে ভেবে জীবনের সুবর্ণ সময় পার করেছেন। তাদের ছোট ছোট দুঃখগুলো দেখার মতো কেউ থাকে না। যে মানুষগুলো ছোট ছোট চাহিদা নিয়ে পথ চলতে চায়। তাদের সীমানা রেখা যেনো দিনদিন আরো দীর্ঘ হয়।
আসুন আমরা বড় বড় মানুষের পিছু পিছু না ঘুরে। ছোট মানুষের ছোট ছোট দুঃখগুলোকে ভাগ করে চলি। কারণ “চাহিদা যার ছোট স্বপ্ন যার আকাশছোঁয়া। তারাই তো আসল মানুষ,যায় না তাদের মতো হওয়া।”
“ছোট স্বপ্পই বড় হয় বড় হলে মন”।
কবি ও লেখক: আমি সাথিয়া
এবিএ/০৪